সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থপতিঃ মিমার সিনান

ইসলামের ইতিহাসজুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য প্রতিভাবান স্থপতির (architect) গল্প। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কিছু স্থাপত্য নিদর্শন মুসলমানদেরই কীর্তি, যারা যুগ যুগ ধরে চমৎকার সব স্থাপনা তৈরীর মাধ্যমে ইসলামের মহিমা তুলে ধরার চেষ্টা করে এসেছেন। জেরুজালেমের ডোম অফ রক্‌, হিন্দুস্তানের আগ্রার তাজমহল, আল-আন্দালুস (মুসলিম স্পেন) এর গ্রানাদায় আল-হামরা এবং ওসমানী সাম্রাজ্যের ইস্তানবুলে সুলতান আহমেদ জামে মসজিদ (Blue Mosque) হচ্ছে সেসব রমণীয় এবং সযত্নে লালিত স্থাপনার ঐতিহ্যের উদাহরণ।

(তর্কসাপেক্ষে) পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সবচেয়ে প্রভাবশালী স্থপতি হিসেবে ধরা হয় ওসমানী স্থপতি মিমার সিনানকে। যিনি জন্ম গ্রহণ করেন ১৪৮৯ খ্রিস্টাব্দে এবং ইন্তেকাল করেন ১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে। তার জীবদ্দশায় তিনি দেখেছেন ওসমানী সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ— ইয়াভুজ সুলতান প্রথম সেলিম, সুলতান সুলেয়মান কানুনি, সুলতান দ্বিতীয় সেলিম এবং সুলতান তৃতীয় মুরাদ এর শাসনামল। এই সুলতানগণের অধীনেই মিমার সিনান নির্মাণ করেন তার অসাধারণ সব স্থাপনাসমূহ, এবং চিরকালের জন্যে বদলে দেন ইস্তানবুলের আকাশের দিগন্তরেখা।

শৈশবকাল

মিমার সিনানের বাবা আব্দুল মান্নান ছিলেন একজন গ্রীক (কিংবা আর্মেনীয়) ব্যক্তি, যিনি পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করেন। পিতার মতো তিনিও একজন তরুণ সৈনিক হিসেবে ওসমানী সেনাবাহিনীর এক বিশেষ অভিজাত সৈন্যদল “ইয়েনি চেরি” (ইংরেজিতে ‘Janissaries’ হিসেবে পরিচিত, শাব্দিক অর্থ “নতুন সৈন্য”) তে যোগদান করেন।

sultanin-iki-adim-arkasindaki-mimar-sinan-listelist2

শিল্পীর তুলিতে সুলতান সুলেয়মান ও মিমার সিনান (প্রতীকী ছবি)

সিনান অল্পদিনেই ইয়েনি চেরিতে একজন প্রকৌশলী হিসেবে প্রতিভার সাক্ষর রাখতে শুরু করেন এবং তিনি একের পর এক মর্যাদাক্রম (Rank) পাড়ি দিয়ে অফিসার পদে উন্নীত হন। অফিসার হিসেবে তিনি ইয়াভুজ সুলতান প্রথম সেলিম ও সুলতান সুলেয়মান কানুনির অধীনে অনেক সামরিক অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। ওসমানী সেনাবাহিনীর ইউরোপ, আফ্রিকা এবং পারস্যজুড়ে নতুন নতুন বিজয়াভিজানগুলোতে মিমার সিনান সেনাবাহিনীর প্রকৌশল সংক্রান্ত বিষয়াদির দেখাশোনা করতেন এবং একইসাথে নতুন বিজিত শহরগুলোতে মসজিদ ও আবাসিক এলাকা তৈরীর ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ছিলেন। কিন্তু তার প্রতিভার খ্যাতি দিন দিন আরো ছড়িয়ে পড়তে থাকলে ১৫৩৮ সালে তাকে ইস্তানবুলে খিলাফতের প্রধান স্থপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রারম্ভিক কাজসমূহ

ইস্তানবুলের স্থাপত্যকীর্তিগুলোর মাঝে আয়া সোফিয়া (Hagia Sophia) ছিলো যেন এক চিরন্তন রত্ন। ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে বাইজেন্টাইনরা গীর্জা হিসেবে আয়া সোফিয়া নির্মাণ করেছিলো। কিন্তু ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে ফাতিহ্‌ সুলতান মেহমেতের ইস্তানবুল বিজয়ের পর, মুসলিম অধিবাসীদের সুবিধার্থে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রুপান্তর করা হয়। এরপর থেকে ওসমানী স্থপতিগণ মসজিদ নকশার জন্য আয়া সোফিয়ার বিশালাকৃতির গম্বুজকে আদর্শ মানদণ্ড হিসেবে ধরে নেন। একারণে ওসমানী মসজিদসমুহে প্রধান চত্বরের উপর সুবিশাল এক কেন্দ্রীয় গম্বুজ দেখা যায়, যা পার্শ্ববর্তী বহুসংখ্যক অর্ধ-আকৃতির গম্বুজের উপর প্রতিষ্ঠিত; এতে করে মসজিদের আকার ও ধারণক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়। যুগ যুগ ধরে অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কোন স্থপতিই বিশালতা ও সৌন্দর্যে আয়া সোফিয়ার শ্রেষ্ঠত্বকে (তখনো পর্যন্ত) ছুঁতে সক্ষম হননি। তাই মিমার সিনানের লক্ষ্য ছিলো ইসলামের জন্য এমন এক স্থাপনা বা স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, যা মহাকাব্যিক আয়া সোফিয়ার বিশালতাকেও ছাড়িয়ে যাবে।

যেহেতু কর্মজীবনের শুরুতে তিনি সাম্রাজ্য জুড়ে অনেক ছোট ছোট মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, সেহেতু স্থাপত্য নকশায় সিনানের অভিজ্ঞতা ছিলো সন্দেহাতীত। তিনি সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে ১৫৪৭ সালে ‘Khusruwiyah’ মসজিদ নির্মাণ করেন, যা আজও শহরটির একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত। এছাড়াও তিনি বাগদাদ এর ইমাম আবু হানিফা মসজিদ এবং কোনিয়ার জালাল আল-দিন আল-রুমি মসজিদেকে সংস্কার করেন। এই প্রকল্পগুলো স্থাপত্য ও প্রকৌশলবিদ্যায় সিনানের ভালো ভিত গড়ে দিয়েছিলো, যা পরবর্তীতে তাকে আরো বড় বড় গৌরবোজ্জ্বল ইসলামী স্থাপত্যকর্ম নির্মাণে সহায়তা করেছিলো।

শেহজাদে ও সুলেয়মানিয়ে মসজিদ

১৫৪৩ সালে সুলতান সুলেয়মানের এক ছেলে রাজপুত্র মেহমেদ ২১ বছর বয়সে গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে, সুলতান তার সম্মানে ইস্তানবুলে স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য বৃহৎ একটি মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। সিনানের জন্য এটি ছিলো বড় স্মরণীয় কোনও মসজিদ নির্মাণ করার প্রথম সুযোগ। পরবর্তী ৪ বছর ধরে সিনান ইস্তানবুল শহরের কেন্দ্রে এই শেহজাদে জামি (মসজিদ) তৈরি করেন। নির্মাণকাজ শেষ হলে মসজিদটি শহরের একটি প্রধান স্থাপনা এবং কেন্দ্রীয় মসজিদে পরিনত হয়। শেহজাদে জামি কেবল একটি মসজিদই ছিলোনা; পাশাপাশি এতে একটি ছিলো কমপ্লেক্স — যেখানে ছিলো একটি স্কুল, দরিদ্রদের জন্য একটি লঙ্গরখানা—যেখানে রান্নাবান্নার জন্য উৎকৃষ্ট সব আয়োজন ছিলো, ছিলো পথিকদের জন্য ঘুমানোর জায়গা এবং রাজপুত্র মেহমেদের কবরখানা। সুলতান সুলেয়মান সিনানের এই কাজে খুবই সন্তুষ্ট হলেও, সিনান একে নিজের সেরা কর্ম হিসেবে ভাবতে পারেননি। তিনি মনে করতেন যে এরচেয়েও উৎকৃষ্ট কিছু নির্মাণ করার ক্ষমতা তার আছে।

সিনানের অধীনে দ্বিতীয় প্রধান মসজিদ ছিলো সুলতান সুলেয়মানের নিজের জন্য। সুলেয়মান নিজের নামে ইস্তানবুলে আরেকটি বৃহদাকৃতির মসজিদ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন, যেন তার মৃত্যুর পরেও মসজিদে মুসলমানদের ইবাদতের ফলে তিনি সওয়াবের ভাগীদার হতে পারেন। আর ইসলামের আধিপত্য ও মহিমা ফুটিয়ে তোলার উদ্দেশে তিনি এই মসজিদকে ইস্তানবুলের দিগন্তরেখার কেন্দ্রবিন্দুতে নির্মাণ করতে চাইলেন। গোল্ডেন হর্ন এর কাছে একটা পাহাড়ের উপরে মসজিদের স্থান নির্ধারণ করা হয়; ফলে বহুদূর থেকেও এই স্থানটিকে সহজে সনাক্ত করা সম্ভব ছিলো। মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হতে প্রায় ৭ বছর সময় লাগে। কথিত আছে, মসজিদটির ভিত্তিস্থাপনের পর সিনান হঠাৎ ৫ বছরের জন্য গায়েব হয়ে যান। ক্ষুব্ধ সুলেয়মান জানতে চান, তার প্রিয় স্থপতির কি হয়েছে! পাঁচ বছর পরে ফিরে এসে সিনান ব্যাখ্যা দেন যে, মসজিদটির ব্যাপকতা এতই বিশাল হবে যে নির্মাণ কাজ শুরু করার আগে এর ভিত্তি মাটিতে স্থায়ী হওয়ার জন্য পাঁচ বছর সময় দরকার ছিলো!

১৫৫৭ সালে যখন মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়, তখন এটি সত্যিকারের ‘মাস্টারপিস’ হিসেবেই বিবেচিত হয। আভ্যন্তরীণ জায়গা , উচ্চতা এবং সুক্ষ্ম কারুকার্যের বিবেচনায় সুলেয়মানিয়ে মসজিদের সমতুল্য অন্য কোন মসজিদ (তখনো) ইস্তানবুলে ছিলোনা। এর সরু-উঁচু চারটি মিনার এবং ৫০ মিটার উঁচু গম্বুজ— স্থাপত্য ও প্রকৌশলের বিবেচনায় একে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলো। মসজিদটির সংলগ্ন কমপ্লেক্সে একটি হাসপাতাল, গোসলখানা, গ্রন্থাগার (যেটি আজও ব্যবহৃত হয়), লঙ্গরখানা, অনেকগুলো কুরআন শিক্ষার মক্তব, একটি হাদিস শিক্ষার বিদ্যালয় এবং শিশুদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিলো। কমপ্লেক্সটির একাংশে একটি সমাধিস্থলও ছিলো, যেখানে সুলতান সুলেয়মানকে মৃত্যুর পর দাফন করা হয়।

sinan-ile-suleymanin-gucu-listelist

শিল্পীর তুলিতে সুলেয়মানিয়ে মসজিদ, ইস্তানবুল

মসজিদের ভেতরের পর্যায়ক্রমিক লাল ও সাদা রঙের খিলানগুলো আল-আন্দালুস (মুসলিম স্পেন) এর কথা মনে করিয়ে দিতো, যা ছিলো তখন শুধুই স্মৃতি। মসজিদের কেন্দ্রে নামাযের কাতারগুলোর উপরে ছিলো একটি বৃহদাকার ঝাড়বাতি। পরিবেশ দূষণের কথা চিন্তা করে সিনান এই মসজিদে বিশেষ ধরনের জানালা ব্যাবহার করেন। জানালাগুলোতে একটি বিশেষ স্তর থাকতো, যেখানে মসজিদে ব্যবহৃত মোমবাতি থেকে নির্গত ঝুল জমা হতো। এইভাবে ঝুল দ্বারা বাইরের বাতাসকে দূষণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হতো; এমনকি এই ঝুলকে ক্যালিগ্রাফারদের ব্যবহৃত কালিতে রুপান্তরিত করা যেতো। মসজিদটির অভ্যন্তরে ইস্তানবুলের অন্যান্য মসজিদের মত সূক্ষ্ম কারুকার্য ছিলো না; বরং এর সৌন্দর্য ছিলো এর সরলতায় এবং আভিজাত্যে। মসজিদের আঙ্গিনা ছিলো ‘Iznik tile’ দ্বারা আবৃত, যাতে আয়াতুল কুরসী অঙ্কিত ছিলো।

এই মসজিদের সৌন্দর্য এবং বিশালতা সত্ত্বেও, সিনান তখনো মনে করতেন যে তিনি এরচেয়েও ভাল কিছু করার ক্ষমতা রাখেন।

সেরা শিল্পকর্ম

 ১৫৬৬ সালে সুলেয়মানের মৃত্যুর পর তার পুত্র খলীফা দ্বিতীয় সেলিমও নিজের নামে একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। তবে এবার ইস্তানবুলে নয়; বরং ইস্তানবুল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে Edirne শহরে এই মসজিদের নির্মাণের স্থান নির্ধারত হয়। এর নির্মাণকাজ শুরুর সময়ে সিনান সত্তরোর্ধ এক প্রৌঢ় হওয়া সত্ত্বেও, তিনি হাজিয়া সোফিয়ার শ্রেষ্ঠত্বকে পিছনে ফেলার জন্য লক্ষ্যে ছিলেন অটল। অবশেষে ১৫৭৪ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে উনি এ লক্ষ্য অর্জনে সফল হন।

মিমার সিনানের আত্মজীবনী অনুযায়ী, তিনি Selimiye মসজিদকে তার সেরা কাজ হিসেবে বিবেচনা করতেন। সেসময়ে মসজিদটির মিনারগুলো ছিলো বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনার, যার প্রতিটির উচ্চতা ছিলো ৮০ মিটারেরও বেশি। মসজিদের গম্বুজটি ছিলো একটি অষ্টকোনী ভিত্তির উপর নির্মিত, ফলে এটি উচ্চতায় হাজিয়া সোফিয়ার গম্বুজকেও ছাড়িয়ে যেতে সফল হয়। যদিও বৈশিষ্ট্যগত দিক থেকে সেলিমিয়ে মসজিদ ও সুলেয়মানিয়ে মসজিদের মিল রয়েছে; তবে কোন পিলার বা অর্ধ- গম্বুজের সাহায্য ছাড়া যেন নিজের উপরই গড়ে উঠা উচ্চতম গম্বুজওয়ালা এই মসজিদটি ছিলো সিনানের পূর্ববর্তী যেকোন স্থাপনার চেয়ে উঁচু। বর্তমানে এটি Edrine –র প্রধান মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত এমন এক স্থাপত্যশিল্প, যার জুড়ি মেলা ভার।

5b5984558f1ed722b0b54c91

সেলিমিয়ে মসজিদ, এদরিনে। মিমার সিনান একে নিজের শ্রেষ্ঠ স্থাপত্যকর্ম হিসেবে বিবেচনা করতেন।

১৫৮৮ সালে মিমার সিনান ৯৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে দাফন করা হয় সুলেয়মানিয়ে মসজিদ চত্বরে; তার সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক সুলতান সুলেয়মানের কবরের কাছে। তার জীবনকালে তিনি নির্মাণ করেছেন ওসমানী সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ স্মৃতিস্তম্ভগুলো। তার যে প্রভাব তিনি মুসলিম বিশ্বের উপর রেখে গিয়েছেন, তা শুধু বিশালাকৃতির মসজিদ নির্মাণেই সীমাবদ্ধ ছিলোনা। তিনি জীবদ্দশায় সমগ্র ওসমানী সাম্রাজ্য জুড়ে ৯০টিরও বেশি বড় মসজিদ, ৫০টি ছোট মসজিদ, ৫৭টি কলেজ, ৮টি ব্রীজ এবং অসংখ্য পাবলিক ভবন নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে তার শিষ্যগণ সমগ্র বিশ্বজুড়েই নির্মাণকাজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছিলেন, যার অন্যতম উদাহরণ হলো ইস্তানবুলের সুলতান আহমেদ মসজিদ (Blue Mosque) এবং ভারতের আগ্রার তাজমহল।

মিমার সিনানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম স্থপতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মৃত্যুর ৪০০ বছর পর আজো তার কাজ ইসলামের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে গণ্য হয়।

অনুবাদ করা হয়েছেঃ The greatest architecht of all time আর্টিকেল থেকে।
অনুবাদকঃ হস্তশিল্পী

About ইসলামের হারানো ইতিহাস

An Islamic history website in Bengali language which is basically the Bengali translation of the “Lost Islamic History” website (lostislamichistory.com) and Facebook page (fb.com/LostIslamicHistory).
This entry was posted in ওসমানী ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতি and tagged , . Bookmark the permalink.

পোস্টটির ব্যাপারে আপনার মন্তব্যঃ