ইসলাম যেভাবে হিন্দুস্তানে আসে

[হিন্দুস্তান বা হিন্দুস্থান, বর্তমান Indian Subcontinent (ভারতীয় উপমহাদেশ) এর ঐতিহাসিকভাবে জনপ্রিয় নামগুলির একটি। এই নামের আক্ষরিক অর্থ “সিন্ধু নদের দেশ”। হিন্দুস্তান নামটি বেশ প্রাচীন, যা এসেছে আদি ফার্সি শব্দ “হিন্দু” থেকে। ফার্সি ভাষায় সিন্ধু নদকে বলা হতো হিন্দু নদ। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জনপ্রিয় “স্তান” অনুসর্গটি (ফার্সি ভাষায় যার অর্থ “স্থান”)। আগে হিন্দুস্তান বলতে গোটা উপমহাদেশকেই বোঝাত।
ঐতিহাসিকভাবে “হিন্দু” কোন ধর্মের নাম নয় বরং সিন্ধু নদের পাড়ে বসবাসরত মানুষদেরকে বোঝাতো তারা যে ধর্মের অনুসারীই হোক না কেন। অন্যদিকে, বর্তমান হিন্দুধর্মের মূল নাম হচ্ছে সনাতন ধর্ম (সংস্কৃতঃ सनातन धर्म) যা কালের বিবর্তনে এখন হিন্দুধর্ম নামে পরিচিত হয়ে গিয়েছে।
সারা বিশ্বের মুসলিমগণ অতীতে এই অঞ্চলকে (এবং এখনও) “আল-হিন্দ/হিন্দুস্তান” বলেই ডাকতেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, রাসূল ﷺ এর সময়ও এই উপমহাদেশকে বুঝানোর জন্য আল-হিন্দ (الهند) নামটি ব্যবহৃত হয়েছে। এই ওয়েবসাইট এর মূল ইংরেজি আর্টিকেলগুলোতে India বলতে বুঝানো হয়েছে গোটা উপমহাদেশ, যা মূলত হিন্দুস্তান। ঐতিহাসিকভাবে ইসলামের হারানো ইতিহাস এর ক্ষেত্রেও তাই আমরা “হিন্দুস্তান” নামটিই ব্যবহার করব। বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ lostislamichistorybangla.wordpress.com/হিন্দুস্তান/]

আজ হিন্দুস্তানে (বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তানে) বসবাসরত প্রায় ৫০ কোটি মুসলিম এই অঞ্চলকে বিশ্বের মুসলিম জনশক্তির অন্যতম একটি কেন্দ্রে পরিণত করেছে। ইসলাম সর্বপ্রথম এই অঞ্চলে আসার পর থেকেই এই অঞ্চলের মানুষদের মাঝে অনেক অবদান রেখেছে এবং এখনও রেখে যাচ্ছে। কিভাবে এই বিশাল অঞ্চলে ইসলাম এসেছে তা নিয়ে অনেক মতবাদ আছে। রাজনৈতিভাবে, কেউ কেউ (যেমন বর্তমান ভারতের ‘হিন্দুত্ব’ আন্দোলন) ইসলামকে বিদেশী বলে আখ্যা দেয়ার চেষ্টা করে, তাদের ভাষ্যমতে, আরব ও পারস্যের মুসলিমদের বহিরাক্রমণের কারণেই এখানে ইসলামের প্রবেশ ঘটে ও বিস্তার লাভ করে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা এরকম নয়।

হিন্দুস্তানের সর্বপ্রথম মুসলিমগণ

3569883190_c838e869bf

চেরামান জুম’আ মসজিদ

রাসূল ﷺ এর জন্মের পূর্বে থেকেই আরব ব্যবসায়ীদের হিন্দুস্তানে বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তারা পশ্চিম হিন্দুস্তানের উপকূলীয় বন্দরগুলোতে ভীড়তেন। ব্যবসার মূল দ্রব্য ছিল মশলা, স্বর্ণ এবং আফ্রিকান পণ্য। স্বাভাবিকভাবেই আরবরা যখন নতুন নতুন ইসলাম গ্রহণ করে, তারা তাদের এই নতুন ধর্ম হিন্দুস্তানের উপকূলে নিয়ে আসে। এভাবে হিন্দুস্তানের প্রথম মুসলিম “পেরুমল ভাস্কর রবি বার্মা” ৬২৯ খ্রিস্টাব্দে (রাসূল ﷺ এর জীবনকালেই) কেরালা তে হিন্দুস্তানের প্রথম মসজিদঃ চেরামান জুম’আ মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। আরব মুসলিম এবং হিন্দুস্তানীদের মাঝে অব্যাহত বাণিজ্যের মাধ্যমে ইসলাম আস্তে আস্তে হিন্দুস্তানের উপকূলীয় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এর মূল মাধ্যমগুলো ছিল দেশান্তর এবং ধর্মান্তরীকরণ।

মুহাম্মাদ বিন কাশিম

হিন্দুস্তানে ইসলাম সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে দামেস্ক-ভিত্তিক উমাইয়া খলিফাদের শাসনামলে। ৭১১ খ্রিস্টাব্দে, সিন্ধু অঞ্চলে উমাইয়াদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে উমাইয়ারা মাত্র ১৭ বছর বয়সী তায়েফের এক অধিবাসীঃ “মুহাম্মাদ বিন কাশিম” কে নিয়োগ দেয়। ‘সিন্ধু’ হচ্ছে উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, যা বর্তমান পাকিস্তানের সিন্ধু নদের তীরবর্তী এলাকা। মুহাম্মাদ বিন কাশিম এর নেতৃত্বাধীন ৬০০০ সৈন্যের এক বাহিনী পারস্যের সবচেয়ে-পূর্বের ‘মাক্‌রান’ (বর্তমান সিন্ধু এবং বেলুচিস্তানের দক্ষিণে) অঞ্চলে এসে পৌঁছায়।

হিন্দুস্তানে আসার পথে তিনি তেমন বাধার সম্মুখীন হননি। সিন্ধু নদের তীরবর্তী শহর ‘নেরুন’ এর কাছাকাছি পৌঁছালে শহরের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা তাকে স্বাগত জানান, শহরটি মূলত সন্ন্যাসীদের অধীনেই ছিল। সিন্ধু নদের তীরবর্তী অন্যান্য শহরগুলোও এরপর কোন যুদ্ধ-বিগ্রহ ছাড়াই স্বেচ্ছায় মুসলিমদের অধীনে চলে আসে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, নির্যাতিত বৌদ্ধ সংখ্যালঘুরা তাদের এলাকার হিন্দু শাসক থেকে পালিয়ে মুসলিম সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে।

জনসাধারণের মধ্যে সিংহভাগের মুসলিমদের প্রতি সমর্থন থাকা সত্ত্বেও, সিন্ধুর রাজা দাহির মুসলিমদের এই অগ্রযাত্রার বিরোধিতা করেন এবং মুহাম্মাদ বিন কাশিম এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেন। ৭১২ খ্রিস্টাব্দে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ শেষ হয় রাজা দাহিরের শোচনীয় পরাজয়ের মাধ্যমে। এই বিজয়ে পুরো সিন্ধু মুসলিমদের অধীনে চলে আসে।

উল্লেখ্য যে, সিন্ধুর জনসাধারণকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হয়নি। বরং প্রকৃতপক্ষে, কারো দৈনন্দিন জীবনে কোন পরিবর্তনই আসেনি। মুহাম্মাদ বিন কাশিম তার অধীনস্থ হিন্দু ও বৌদ্ধদের নিরাপত্তা দেন এবং ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দেন। উদাহরণস্বরূপ, আগের মতোই ব্রাহ্মণরা কর সংগ্রহের দায়িত্বে আর বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা তাদের মঠ রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে। ধর্ম পালনের এই স্বাধীনতা এবং সুবিচার প্রতিষ্ঠার কারণে, অনেক শহরের অধিবাসীরা গান-বাজনার মাধ্যমে মুহাম্মাদ বিন কাশিম এবং তার বাহিনীকে অভিবাদন জানায়।

ধর্মান্তরীকরণের নমুনা

ধারাবাহিক জয়ের মাধ্যমে মুসলিম সেনারা একই পদ্ধতিতে হিন্দুস্তান র অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে থাকে। হিন্দুস্তানের সমাজের ধর্মীয় এবং সামাজিক কাঠামো পরিবর্তন করা ছাড়াই গজনীর সুলতান মাহমুদ এবং মুহাম্মাদ তুঘলুক মুসলিমদের রাজনৈতিক এলাকা বিস্তৃত করেন।

প্রাক-ইসলামিক যুগে হিন্দুস্তানের সমাজের কাঠামোর ভিত্তি ছিল বর্ণ প্রথা, যার মাধ্যমে সমাজ কয়েক অংশে বিভক্ত ছিল। মানুষের মাঝে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ব্যাপারটা ধাপে ধাপে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক বর্ণের সকলেই ইসলাম গ্রহণ করে। এর পিছনে বিভিন্ন কারণও ছিল। বর্ণ প্রথার বৈষম্যের চেয়ে ইসলাম সমাজে যে সমতা এনেছিল তা মানুষের কাছে বেশী আকর্ষণীয় ছিল। বর্ণ প্রথায় মানুষের অবস্থান নির্ণয় হয় জন্মের মাধ্যমে। সমাজে সক্রিয় অবদান রাখা তো দূরের কথা, এমনকি পিতা-মাতার যতটুকু অর্জন করেছে তার চেয়ে বেশী অর্জন করাই সম্ভব ছিল না। ইসলাম এসে মানুষকে উপরে ওঠার সুযোগ করে দেয়, ব্রাহ্মণ গোত্রের পরাধীনতা থেকে দেয় মুক্তি।

jama_masjid_delhi

দিল্লি জামি মসজিদ

উপমহাদেশের এককালের জনপ্রিয় ধর্ম ছিল বৌদ্ধধর্ম। মুসলিম শাসনামলে এসে ধর্মটি আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যেতে থাকে। উপমহাদেশের মানুষ সাধারণত বর্ণ প্রথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষ্যে কোন বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে গিয়ে বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করতো। যখন ইসলাম তাদের কাছে আরো ভাল এক বিকল্প হিসেবে আসে, তারা বৌদ্ধধর্মের পরিবর্তে ইসলামের দিকে ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু বর্ণ প্রথা ত্যাগের ব্যাপারটা যথারীতি চলছিল। মুসলিমদের আগ্রাসনে উপমহাদেশে বৌদ্ধধর্ম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে যে জনশ্রুতি আছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। মুসলিম শাসনামলে বৌদ্ধদের ধর্ম পালনে কোন রকম বাধা দেয়া হয়নি এবং জোর করে ধর্মান্তরীকরণ কিংবা আগ্রাসনের কোন প্রমাণও নেই।

হিন্দুস্তানে জনসাধারণের মাঝে ইসলাম এর বাণী পৌঁছিয়ে দিতে শিক্ষকগণ মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। মুসলিম পণ্ডিতগণ গোটা হিন্দুস্তান জুড়ে পরিভ্রমণ করেছিলেন, মানুষকে ইসলামের শিক্ষা দেয়াকে করে নিয়েছিলেন জীবনের লক্ষ্য। বেশীরভাগই আবার সুফী মতবাদ প্রচার করেছিলেন। এই মতবাদ ছিল ইসলাম প্রচারের এক রহস্যময় পন্থা যা জনসাধারণকে অনেক কৌতূহলী করে তুলেছিল। শুধুমাত্র মুসলিম শাসকদের নিকটস্থ সমাজের অভিজাত শ্রেণীদেরই নয়, গ্রামাঞ্চলের বৃহৎ জনসংখ্যাকে ইসলামের পথে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এই শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল।

ইসলাম এর প্রসার কি জোর-জবরদস্তি করে হয়েছে?

দাবী করা হয় যে, হিন্দুস্তানে ইসলামের অসংখ্য অনুসারীর কারণ হচ্ছে জোর-জবরদস্তি এবং বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ধর্মান্তরীকরণ। এ ব্যাপারে কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেনি। যদিও পরবর্তীতে মুসলিম শাসকদের পরিবর্তে হিন্দু রাজারা শাসনে এসেছিল, কিন্তু সমাজ রয়ে গিয়েছিল আগের মতোই। জবরদস্তি ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ধর্মান্তরীকরণ এর ঘটনা খুবই কম, তাছাড়া একাডেমিক আলোচনা এবং গবেষণার ক্ষেত্রেও বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ইসলাম যদি সত্যিই সত্যিই সংঘাত ও যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করতো, তাহলে হিন্দুস্তানে মুসলিম সম্প্রদায় আজ শুধুমাত্র অন্যান্য মুসলিম অঞ্চলের কাছাকাছি জায়গাগুলোতে বিদ্যমান থাকতো। অর্থাৎ শুধুমাত্র উপমহাদেশের পশ্চিমাংশে মুসলিম জনসংখ্যা থাকতো। বরং আমরা এখন যা দেখতে পাই তা হলো উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম ছোট-বড় আকারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের ১৫ কোটি মুসলিম রয়েছে উপমহাদেশের সর্ব-পূর্বে, যা হিন্দুস্তানের বিশাল হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের মাধ্যমে অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন। এমন আরো বিচ্ছিন্ন অঞ্চল আছে পশ্চিম-মিয়ানমার, মধ্য-হিন্দুস্তান এবং শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে। এই অঞ্চলগুলোতে মুসলিমদের অস্তিত্বই প্রমাণ করে ইসলাম শান্তিপূর্ণভাবে গোটা উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, মুসলিম শাসক ছিল কি ছিলনা তার উপর নির্ভর করে নয়। অনেকের দাবী ইসলাম জোর-জবরদস্তির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছে, একথা সত্যি হলে উল্লেখিত অঞ্চলগুলোতে মুসলিম সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব থাকতো না।

ইসলাম হচ্ছে এই উপমহাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই উপমহাদেশ এখন এক বহুজাতিক ও বহু ধর্মের মানুষের অঞ্চল। এখানে ইসলামের অবস্থান কেমন তা উপলব্ধি করা খুবই জরুরী। ইসলামকে অনেকে এমনভাবে অ্যাখ্যা দেন যেন এটি যুদ্ধ-বিগ্রহের ধর্ম, আবার অনেকে বলেন এটি একটি বিদেশী ধর্ম। এ ধরনের দাবীকে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বাণী প্রচারের মাধ্যমেই মোকাবেলা করতে হবে।

অনুবাদ করা হয়েছেঃ How Islam Spread in India আর্টিকেল থেকে।

অনুবাদকঃ আহমেদ রাকিব

Bibliography – গ্রন্থপঞ্জিঃ

Hodgson, M. The Venture of Islam . 2. Chicago: University of Chicago Press, 1961. Print.

Kennedy, Hugh. The Great Arab Conquests: How the Spread of Islam Changed the World We Live In. Philadelphia: Da Capo Press, 2007. Print.

“World’s second oldest mosque is in India.” Bahrain Tribune 07 06 2006, n. pag. Web. 23 Nov. 2012..

About ইসলামের হারানো ইতিহাস

An Islamic history website in Bengali language which is basically the Bengali translation of the “Lost Islamic History” website (lostislamichistory.com) and Facebook page (fb.com/LostIslamicHistory).
This entry was posted in হিন্দুস্তানে ইসলাম. Bookmark the permalink.

57 Responses to ইসলাম যেভাবে হিন্দুস্তানে আসে

  1. Izmamul Haque বলেছেন:

    ভালো ৷ এই তথ্য গুলি খুব দুস্পাপ্প

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ। আপনার বন্ধুদেরকে আমাদের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেইজে invite করতে ভুলবেননা!

      Liked by 1 person

      • Siddhartha mitra বলেছেন:

        পৃথিবীতে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ জৈন মানুষ আছেন।সবাই কট্টর ধার্মিক এমনটা নয়।এরা মুলত যুক্তি তথ্যপ্রমানের উপর নির্ভর করেন।তথ্য দেবার সময় অন্য ধর্মকে আঘাত বা ছোট করা । রাজনীতির কারবারিদের উদাহরণ হিসেবে দেখানো এইসব পরিহার করে নিপাট যুক্তি বেষ্টিত বক্তব্য পেশই কাম্য নতুবা শিক্ষিত মানুষ বাচাল বলে পড়া এড়িয়ে যাবে। ইতিহাসে নালন্দা সোমনাথ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান মুসলিম শাসক কতৃর্ক ধ্বংস হয়েছে। এগুলো কি আগ্রাসন নয় ।এই ধ্বংস‌ই সাধারণ মানুষের জীবন আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে নি। হিন্দু রাজারাও বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজে মানুষ কে উদ্বেগ আতঙ্কে রাখতে।বৌদ্ধ‌ও তাই অশোক তো ভয়ংকর। রাজাবা সম্রাটদের রক্ষা করতো ধর্ম। ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে তাই বেরোয়।ধর্মের সুফল আমজনতা কম‌ই পেয়েছে।🙏

        Like

  2. অজ্ঞাত বলেছেন:

    খুবই গুরুত্বপূর্ণ লিখা।

    Liked by 1 person

    • ধন্যবাদ। আপনার বন্ধুদেরকে আমাদের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেইজে invite করতে ভুলবেননা! 🙂

      Like

      • অজ্ঞাত বলেছেন:

        বিকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
        প্রতিটি মোগল আক্রমনেই জবরদস্তি ধর্মান্তকরন হয়েছে। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের হত্যা, পুস্তকাদির বিনষ্টিকরন আগুন লোটপাট ধর্ষন
        দাস দাসী করা, ছিল মুসলমান জাতি, আর শাষকদের প্রতিটা মিনিটের কর্মসূচী।
        এখানে মুসলীমদের জয়গান আর উদারতার কথা মোলায়েম ভাবে বর্নিত। সত্যের অপলাম। হিংস্রতাকে লোকানো হয়েছে। বর্তমানের প্রতিটি মুসলমানের ইতিহাস খোঁজলে দেখা যাবে ২০০/৩০০/৪০০/ ৫০০/ ৭০০/ বছর আগে বা আরো মুসলমান আগ্রাসনের শুরুর দিনগুলিতে এরা ভয়ে, বা জবরদস্তিতে বা ধর্ষনের ফল হলো মুসলমান, যেমন বর্তমান বাংলাদেশ শৃষ্টির সময়ে বহু ধর্ষিতার সন্তাম এখনো বাংলায়, যারা পাকিস্তানকে জেনেটিক কারনে ভালোবাসে।
        তেমনি ভাবে এ উপমহাদেশে একটি প্রানীও ভালেবেসে ইসলামের জয়গান গায়নি।
        এখানে লেখা আছে যা তা একারনেই মিথ্যার বেসাতি।

        Like

      • আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। 🙂

        ভাল লাগলো আপনার কমেন্টটি পড়ে, কারণ এই ওয়েবসাইট যারা ঘুরতে আসেন তারা আপনার কমেন্ট দেখেই বুঝতে পারবেন যে মূলত কি কারণে এবং কাদের প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে জনসাধারণকে বাঁচাতে এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছিল। আপনি যা যা বললেন তার সবই ভাসা-ভাসা কথাবার্তা যেগুলোর কোন ঐতিহাসিক রেফারেন্স নেই। সত্য হয়ে থাকলেই তো রেফারেন্সত থাকতো।

        আর হ্যাঁ, মোদিজি আর অমিত শাহ্‌ এর ভাষণ বেশী বেশী করে শুনবেন, তাহলে এ ধরণের গল্পের আরো নতুন নতুন ভার্সন পাবেন। 🙂 (y)

        Like

      • Maimun বলেছেন:

        “অজ্ঞাত” কমেন্টের জায়গায় রিপ্লাই দিতে না পেরে এখানে কেমেন্টস করলাম।
        “এ উপমহাদেশে একটি প্রানীও ভালেবেসে ইসলামের জয়গান গায়নি।” আপনার এই কথা দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি কতটা ঈষার্ণিত হয়ে ইসলামের উপর। আপনার যদি সুস্থ বিবেক থাকতো, তাহলে আপনি উপলব্দি করতে পারতেন আজও ভারতেও অসংখ্যা মানুষ কেন ইসলাম ধর্ম গ্রহন করছে? আপনাদের জানে-জিগার মোদি-অমিত শাহ্‌ গং বাধ্য হয়ে আইন করে ধর্মান্তর হওয়া নিষিদ্ধ করেছে।

        Like

  3. অজ্ঞাত বলেছেন:

    Very nice dawah activities, salute to the editor of the page.

    Liked by 1 person

  4. অজ্ঞাত বলেছেন:

    khub valo post

    Liked by 1 person

  5. সাহেনশা বলেছেন:

    খুব ভাল লাগলো

    Liked by 1 person

  6. অজ্ঞাত বলেছেন:

    অশেষ ধন্যবাদ । বহু অজানা কথা জানতে পেরেছি । আমি আসামের মানুষ ভাল ভাবে বাংলা ভাষা জানিনা । ক্ষমা করবেন বন্ধু সবাই ।

    Liked by 1 person

  7. সুরাব উদদিন বলেছেন:

    খুব সুন্দর

    Liked by 1 person

  8. Goutam Sarkar বলেছেন:

    আমি তোমার কথায় সহমত নয়।রাম মন্দির ভেঙে বাবরি মসজিদ কী করে হল।বল তোমরা।আমার ধর্ম আমার গর্ব।

    Like

  9. Goutam Sarkar বলেছেন:

    এই গুলো ভুল তথ্য

    Like

  10. অজ্ঞাত বলেছেন:

    খুব ভাল লাগল

    Liked by 1 person

  11. শুয়াইব বিন আহমাদ বলেছেন:

    অসাধারণ হয়েছে

    Liked by 1 person

  12. পিংব্যাকঃ ইসলাম-পূর্ব আরবের বিশেষত্ব কি ছিল? | ইসলামের হারানো ইতিহাস

  13. Shakhawat Hossain বলেছেন:

    True is mandatory for all people of India subcontinent. Thanks lot….

    Liked by 1 person

  14. aminuddin sukh বলেছেন:

    অসাধারণ

    Liked by 1 person

  15. আলি আকবার মন্ডল বলেছেন:

    বর্তমান সময়ে কিছু কথা বলতে হলে তার জন্য প্রমান ছাড়া কোন দাম নাই আপনি কোনো কথা বলতে হলে তার জন্য প্রমান করতে হবে কারা দোষী বর্তমান সময়ে জা ইতিহাস পড়ানো হয়ে থাকে ইস্কুলে তার মিথ্যা জে কত তা হিসাব করতে গেলে আরও একটি ইতিহাস লিখতে হবে জারা নিজেকে মুসলিম বলে তারাও জানে না পিছনের ইতিহাস ভারতেে কত বছর মুসলিম শাসক ছিল জোর করে ইসলাম ভারতে বিস্তার লাভ করলে কোন মন্দির গির্জা তাদের ধর্মের লোকবাকি থাকতো না তাই সত্যটা জানুন মিথ্যা কথাবলা বন্ধ করুন এখন ইন্টারনেটের সময় ইতিহাস চাপা থাকে না সময়ে বলে দেবে

    Liked by 1 person

  16. অজ্ঞাত বলেছেন:

    আবারো জাগতে হবে,ভারতের মুসলিমদের।।আর কত ভাই রক্ত দিবে, মা বোন ধর্ষিতা হবে।। চাই ভারতের সেই অতিত রাজকীয় মুকুট মুসলিমদের হাতে, চাই একজন বীন কাসিম।।

    Liked by 1 person

  17. অজ্ঞাত বলেছেন:

    আলালাহ আপনাকে অনেক বড়ো করুক ।
    Thank you

    Liked by 1 person

  18. সব্যসাচী চৌধুরী বলেছেন:

    কোন বর্ণের হিন্দুরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল সেটা লেখেন নি।

    Liked by 1 person

  19. অজ্ঞাত বলেছেন:

    ইসলাম প্রচারে ও প্রসারে কোন জোর জবরদস্তি ছিলনা। পেষ্টপোষকতা, নিরাপত্তা ও সুযোগ তৈরী করে দিয়েছিলেন মুসলিম শাসকগণ।মুসলিম সূফী সাধকগণ অনন্য অবদান রেখে ছিলেন।মুসলিম বিজেতাগণকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্যাতিত সাধারন জনগণ যাদের ধর্ম সাধনা করার সুযোগ ছিলনা।শুধু তাদের কর্মের মাধ্যমে দিন অতিবাহিত হত। তবে ক্ষমতা এমন
    এক জিনিস যাহা মানব সৃষ্টির থেকেই সব মানুষের মধ্যে বিদ্যমান আছে।ক্ষমতার জন্য পিতাকেও ছাড় দেয়া হয়নি।

    Liked by 1 person

  20. পিংব্যাকঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ স্থপতিঃ মিমার সিনান | ইসলামের হারানো ইতিহাস

  21. পিংব্যাকঃ ◙ ৫৭০-৬১০ – ইসলাম-পূর্ব আরবঃ ভৌগলিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দৃশ্যপট.. – " ইসলামের ইতিহাস বাংলা

  22. পিংব্যাকঃ হিন্দুস্তানে ইসলাম আসার ইতিহাস : পাক ভারত উপমহাদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসার

  23. রনজিৎ দাস বলেছেন:

    জোর করেও মুসলিম করা হতো। আমি যে জেলায় বসে লিখছি সেই নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে খাজনা বাকি পড়ার দায়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের ফরমান জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ধমানের রাজা সেই খাজনার টাকা পরিশোধ করে দেওয়ায় ধর্মান্তরিত হওয়ার হাত থেকে কৃষ্ণচন্দ্র বেঁচে গিয়েছিলেন।
    তবে একথা ঠিক যে, হিন্দু ধর্মের বর্ণপ্রথা একটি অভিশাপ।
    মুসলিম ধর্মকে ভালোবেসে নয় হিন্দুধর্মের বর্ণবাদী উচ্চ বর্গের অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য অসংখ্য নিন্মবর্গের মানুষ ইসলাম কবুল করেছিল।

    Like

  24. রনজিৎ দাস বলেছেন:

    জোর করেও মুসলিম করা হতো। আমি যে জেলায় বসে লিখছি সেই নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে খাজনা বাকি পড়ার দায়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের ফরমান জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ধমানের রাজা সেই খাজনার টাকা পরিশোধ করে দেওয়ায় ধর্মান্তরিত হওয়ার হাত থেকে কৃষ্ণচন্দ্র বেঁচে গিয়েছিলেন।
    তবে একথা ঠিক যে, হিন্দু ধর্মের বর্ণপ্রথা একটি অভিশাপ।
    মুসলিম ধর্মকে ভালোবেসে নয় হিন্দুধর্মের বর্ণবাদী উচ্চ বর্গের অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য অসংখ্য নিন্মবর্গের মানুষ ইসলাম কবুল করেছিল।

    Like

  25. রায়হান 01720322280 বলেছেন:

    খুবই সুন্দর

    Like

  26. রায়হান 01720322280 বলেছেন:

    যুগে যুগে নিপিঢ়িত নিরযাতিতরাই ইসলামের ছায়াতলে এসেছে

    Like

  27. অজ্ঞাত বলেছেন:

    সঠিক

    Like

  28. sharif uddin বলেছেন:

    আচ্ছা ভারতে মুসলিম প্রতিষ্ঠার জন্যে কোনো
    যুদ্ধ হয়েছে?

    Like

  29. sharif uddin বলেছেন:

    ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হয় কোন যুদ্ধের মাধ্যমে? একটু
    বললে ভালো হত

    Like

  30. আবির বলেছেন:

    ধন্যবাদ অনেক কিছু জানতে পেরেছি।

    Like

  31. অজ্ঞাত বলেছেন:

    সুলতান মাহমুদ গজনবী কে নিয়ে এরকম একটি আর্টিকেল শেয়ার করুন

    Like

  32. পিংব্যাকঃ ইসলাম-পূর্ব আরবের বিশেষত্ব কি ছিল? – al-wala' wal-bara'( ٱلْوَلَاءُ وَٱلْبَرَاءُ‎)আনুগত্য এবং অস্বীকৃতি

  33. অজ্ঞাত বলেছেন:

    বাহ, বেশ লাগলো পড়ে। কিন্তু কিছ খটকা লাগছে তাই আলোকপাত করলে বাধিত হবো – অভিযান শব্দের অর্থ কি? মানে গজনীর সুলতান থেকে প্রত্যেকটা বহিরাগত মানুষ ভারতবর্ষে ঠিক এইভাবেই ধুকেছিল কি না, তাই বলছি। আচ্ছা, শত নয় হাজার হাজার বই রয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে কিভাবে ধবংশ লীলা হত্যা করা হয়েছিল – তাহলে সেগুলো সব মিথ্যা মনে হলে শিখদের ক্ষেত্রে কি করা হয়েছিল সেটা নিয়ে কিছু বলুন। আচ্ছা, জিজিয়া কর কি? কাদের কেন দিতে হতো? অর্থাৎ ছলে বলে কৌশলে নিজেদের দলের লোক সংখ্যা বৃদ্ধি – এটাই হয়েছিল তো নাকি? সেটা অস্বীকার করলে তাহলে কোরানে কি লেখা আছে, সেসব উল্লেখ করতে পারি। সেখানে যে জেহাদ করতে বলা হয়েছে সেগুলো কি? আর ইসলামের ছায়াতল মানে? কেউ ইসলাম গ্রহণ করলেই তাঁর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আচ্ছা কোন গ্রুপে নাম লেখাতে হবে – শিয়া নাকি সুন্নি? এইরকম তো ৭২ এর বেশী ভাগ আছে। এক গ্রুপ অন্যের উপর আক্রমণ করে না বা করবেই না, তাই না? হজরত মহম্মদ নিজে কতোজনকে ইসলাম বোঝাতে পেরেছিলেন? মাথার উপর তরবারি রাখায় কতজন বাধ্য হয়েছিলেন সেটা নিয়ে কিছু বলুন। আর মন্দির ধংশ করে সেটাকেই মসজিদ বানিয়ে ফেলার রেওয়াজ? সেটা তো প্রথমাবধিই আছে। কাবা মন্দির কোন মুসলিম বানিয়েছিলেন সেটা বলবেন নাকি মূর্তি পূজারীদের উপাসনাস্থলে দেবতার মূর্তি ছুঁড়ে ফেলে জোর জবরদস্তি দখল করে নেওয়ার কাহিনী শোনাবেন? নাকি কি ভাবে মেয়েদের শস্যক্ষেত্র রূপে যৌন নিপীড়নের শিকার হতে হয় সেই গল্প শোনাবেন? নাই, বেহেস্তে ৭২ টা হুরের লোভে ইসলাম ধর্ম আঁকড়ে পড়ে থাকতে হবে? আচ্ছা, এইটা বলুন তো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে ঠিক কি কি পাওয়া যেতে পারে? আর, শেষে এইটাও রাষ্ট্রের নাম বলুন যে দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বা অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী কিন্তু সেখানকার মানুষ শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করছে? পরিশেষে বলি – আমি কিছু প্রশ্ন রেখেছে মাত্র; আপনার মতো সত্যের অপলাপ করিনি। মিথ্যাচারের প্রয়োজন আপনার পড়ছে কেন অন্যদের নয় সেটাও সম্ভব হলে জানাবেন। আর একটা অনুরোধ ভেবে দেখার – সত্য অস্বীকার করে মিথ্যাচার করার মানসিক যন্ত্রণা লাঘবের কোনও ঔষধ না থাকলে সেই অন্যায় পাপের দায় কি ইসলাম নেবে বলে নিশ্চিত? ও হ্যাঁ, ভুলেই গিয়েছিলাম – ইসলামে তো বলাই আছে যে একজন মুসলিম অন্য মুসলিমের অন্যায় প্রকাশ না করলে বেহেস্তে যাবে। যান, শুভেচ্ছা রইল – সেখানে আপনার জন্য ৭২ হুর অপেক্ষায়।

    Like

পোস্টটির ব্যাপারে আপনার মন্তব্যঃ